রব আমি নীরবে, হৃদয়ে তব।
নেই প্রয়োজন আর ট্যাক্সির অপেক্ষার,
শেষ রাতের পথিক, পথক্লান্ত মন।
আজ শেষ, শুধু সেই হাত তুলে থাকা।
জমে থাকা যত রাগ, দুঃক্ষ, ক্ষোভ -
যাবো চলে নিয়ে সাথে,
থেকে যাক - শুধু ভালোবাসা।
যে ভালোবাসায় বাঁধা ছিল মন,
চেয়ে দেখো রক্তমাংস আগুনে পুঁড়ে ছাই,
গঙ্গার শ্রোতে ভেসে আমি ছড়িয়ে যাব তা
আসমুদ্র হিমাচল।
স্রোতের বিপরীতে ভাসবে
আমার পোড়া শরীরের ছাই,
আমার-ই মতো।
আমাকে রেখো না মনে, নিশ্প্রয়োজন!
আমি ভগবান নই, ভূত মাত্র। তাই
ভূতচতুর্দশীর নেশাই আমার প্রিয়।
মৃত সৈনিকের চরিত্রে শুয়ে শুয়ে,
চির-ঘুমে ঘুমিয়ে আজ শান্ত।
রেখে যাওয়া ডাইরির পাতায়
মন উজাড় করা অক্ষরের জাল -
অপেক্ষায় তোমাদের চুলচেরা বিশ্লেষণ।
অযুক্তির যুক্তিতে গেঁথে,
না পারে যদি তারা ঘুম ভাঙাতে,
ছিড়ে ফেলো সেই সব পাতা।
রেখে যাওয়া যত ছবি,
বুঝে নিয়ো আঁকিবুকি।
রং মেখে কাটাকুটি,
মুখোশটা ছিড়ে ফেলে
প্রাণ ভরে যদি বীচি -
যুক্তির নিক্তিতে
মেপে নিয়ে নিঃশ্বাস
গুনে বোলো আর কটা
ছাড়া যাবে প্রশ্বাস
আমাকে রেখো না গেঁথে, নিশ্প্রয়োজন।
আমার শরীরের রক্তকণিকারা
বুনে গ্যাছে নতুন গাছ, আসবে নতুন পাতা।
সবুজ, লাল আর তারপর হলুদ,
ঝরে যাবার আগে - হোক রংমিলান্তির খেলা।
আমার রেখোনা ছবি, শুধূশুধু হয়রানি।
পুড়ে যাওয়া শরীরটাকে - না ভাসিয়ে,
উড়িয়ে দিয়ো ছাই - মিশে থাক হাওয়ায়,
তোমাদের নিঃস্বাসে-প্রশ্বাসে।
বেঁচে থাক গল্পে - নিজেকে না-লুকিয়ে বাঁচা।
যুক্তিতে, অযুক্তিতে।