সালটা তখন ২০২০ , pre - pandemic যুগের শেষ ভাগ ,মানে নাক টা তখনও গোপনাঙ্গ হিসাবে ঘোষিত হয়নি। পৌষ মাসের আলসে রোদের আমেজে আমাদেরও মনটা বেড়াই বেড়াই করছিলো। রবি ঠাকুর এর ভাষায় বলতে গেলে…
“শীতের হাওয়ায় লাগলো নাচন আমলকির ওই ডালে ডালে
পাতাগুলি শিরশিরিয়ে ঝরিয়ে দিলো তালে তালে“
শীতের তালে তাল দিয়ে বন্ধুরা মিলে plan করলাম শান্তিনিকেতন বেড়াতে যাওয়া। শান্তিনিকেতন হল পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের একটি পাড়া। এটি মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এবং পরে তার পুত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দ্বারা প্রসারিত হয়েছিল যার দৃষ্টি বিশ্বভারতীর সৃষ্টির সাথে এখন একটি বিশ্ববিদ্যালয় শহর হয়ে উঠেছে। এটি 2023 সালে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি দ্বারা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় খোদাই করা হয়েছে ।
বাঙালি হিসেবে, আমরা সবাই রবি ঠাকুরের হৃদয়স্পর্শী গান গেয়ে, তার কাল্পনিক রচনা পড়ে এবং তার কবিতা আবৃত্তি করে বড় হয়েছি। প্রতিটি রবীন্দ্রসঙ্গীত, তাঁর উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র এবং তাঁর কবিতার প্রতিটি লাইনের সাথে সবসময় নতুন ভাবে অনুভব করা যায় , তাঁর সম্পর্কে নতুন কিছু শেখা যায় ।
শান্তিনিকেতন, এমন একটি স্থান যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দর্শন লালিত হয়েছিল, প্রকৃতি এবং সংস্কৃতির একটি সুরেলা মিশ্রণে। এর অনেক আকর্ষণের মধ্যে, সোনাঝুরি হাট সৃজনশীলতা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি জমজমাট কেন্দ্র হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে।
সোনাঝুরি হাট, সোনিবারের হাট বা খোয়াই মেলা নামেও পরিচিত, এটি একটি বিখ্যাত open-air বাজার যা প্রতি শনিবার হয়। খোয়াই নদীর তীরে অবস্থিত এবং শাল, সোনাঝুরি এবং পিয়াল গাছে ঘেরা বাজারটি দেখার মতো। প্রাণবন্ত পরিবেশে নিজেকে মেলে দেওয়া , হস্তনির্মিত শিল্পকর্ম item দ্বারা পরিপূর্ণ বিভিন্ন স্টল ঘুরে বেড়ানোর জন্য, বিকেলের সময় টা একদম perfect।
সোনাঝুরি হাট শুধু একটি বাজার নয়; এটি একটি সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা। এটি এমন একটি জায়গা যেখানে পূর্ব ভারতীয় সংস্কৃতির সমৃদ্ধ tapestry দেখতে পাওয়া যায়…
ছবি সৌজন্যে সুব্রত দাশ