সূত্রধর: আরে বাহ্! সবাই চলে এসেছেন? শাবাশ! Narator খুশ হুয়া….খুব ভালো করেছেন! আজ একটু চেয়ারটা টেনে বসুন তো, মোবাইলটা সাইলেন্টে দিন, আর মনটা পুরো ১০০% খুলে রাখুন—কারণ যা শুনবেন, তাতে হাসি আটকানো মুশকিল। এটা কোনো গুরুগম্ভীর পূজা নয়, এটা কোনো স্কুলের পরীক্ষার খাতাও নয়—এটা একেবারে অন্যরকম মজা। আমরা সবাই জানি, আমাদের চারপাশের দুনিয়া মাঝে মাঝে এত সিরিয়াস হয়ে যায়, যে একটু মশকরা ছাড়া থাকাই যায় না। এই মঞ্চ তাই আপনার জন্য—হালকা ব্যঙ্গ, একটু খোঁচা, কিছু গান, কিছু সংলাপ, আর হ্যাঁ, অগোছালো হাসির ভান্ডার নিয়ে এসেছে। তাহলে সবাই রেডি তো? চলুন তবে শুরু করি এই আজব, মজার, আর একেবারে এক্সক্লুসিভ আসর!

আর হ্যাঁ, এই নাটকটি একটি শিল্পকর্ম ও কল্পনার প্রকাশমাত্র। নাটকের চরিত্র, ঘটনা ও সংলাপ শুধু বিনোদন ও চিন্তার খোরাকের জন্য পরিবেশিত। কারো ধর্মীয় বিশ্বাস, আচার-অনুষ্ঠান বা অনুভূতিকে আঘাত করা, প্রশ্ন তোলা বা অসম্মান করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।

চণ্ডীপাঠ
Espoo র এই বর্নার্ঢ্য সন্ধ্যায় দেখা গিয়েছে মানুষের ভীড় ।
EIS দুর্গোৎসবে সুসজ্জিত বঙ্গের কলা কুশলী গণ ।
সূত্রধর মাইকের পাশে জানায় জগন্মাতার আগমন বার্তা ।
ব্যাকস্টেজে শঙ্খধ্বনির সাথে আজকের নাটকের শুভ সূচনা ।

প্রথম পর্ব

নেপথ্যে গান:
গণেশ এলো নতুন বেশে,
KK ধনুক হাতে।
পাড়ি দেবে নতুন দেশে,
ময়ূর আছে সাথে।

গণেশ আর কার্তিকের প্রবেশ।

কার্ত্তিক: Yo গনাদা…CooooL, তোমার এ কেমন রূপ দেখি? মানব অবতার টাইপের কিছু একটা বলে মনে হচ্ছে?
গণেশ: আর ভাই বলিস কেনো। সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলাম, Stem Cell দিয়ে আগের মাথাটা তৈরী করিয়ে নিলাম।
কার্ত্তিক: তা এতো দিন পরে হঠাৎ স্টেম সেল ওরা পেলো কি ভাবে?
গণেশ: আরে ওরা এখন অনেক উন্নতি করেছে। আমার ওই ভাঙা দাঁতের টুকরো থেকে স্টেম সেল বের করে নিলো।
কার্ত্তিক: O-M-G, এ তো দারুণ ব্যাপার। তবে এতো রোগা হলে কি করে?
গণেশ: এতো দিন ধরে যা মোদক খাচ্ছি, ডায়াবেটিস কি আর ছেড়ে দেবে রে? এখন মোদকের বদলে সুগার ফ্রি অর্গানিক মধু খাও, তাও আবার নিম ফুলের।
যাক গে যাক, আচ্ছা এবার তোর খবর বল।
কার্ত্তিক: BRO আমি legit ভাবছি একটু বিদেশ যাই। মা তো প্রতিবার একাই বস-ফাইট জিতে নিচ্ছে, আর আমি শুধু ওই লোকজনের বাড়ীর বাইরে pure NPC vibes নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। এইভাবে আমার ফাইটিং skill গুলো একেবারে DeepSeek-এর hidden parameters এর মতো লুকিয়ে যাচ্ছে — কেউ দেখতে পাচ্ছে না! So next plan মালয়েশিয়া। পাহাড়ের কোলে একটা গুহা নিয়ে chill করব। সকালে shadow boxing, দুপুরে বানরের সাথে sparring…
গণেশ: …আর রাতে?..ওটা আবার বাদ দিবি কেন?
কার্ত্তিক: বাদ দেব না তো, রাতে বাদুড়দের সাথে reflex training । Basically self-update patch v2.0. কিন্তু শুনে রেখো, ওই গুহায় বসে আমি শুধু meditation করব না — আমি আমার brain-কে DeepSeek mode-এ চালু করব। Full optimization, no lag.
গণেশ: কি যে বললি, খুব একটা তো বুঝতে পারলাম না কিন্তু শুনে বেশ ভালোই লাগলো। আমিও তো কদিন আগেই ঘুরে এলাম, সবাই শুধু insta reel আর tiktok করতেই ব্যস্ত। Proper ভক্তিভ vibe কেউ দিলই না। পুরো pandel vibe turned into শুধু ‘selfie convention’।
চল চল এবার চল, দেখি বাকিদের কি প্ল্যান।
কার্ত্তিক: WOW……FAM!… তুমি তো দেখছি BRO, আমার ভাষাতেই কথা বলছ?..চলো চলো।

দুজনের প্রস্থান।

দ্বিতীয় পর্ব

নেপথ্যে গান:
সরস্বতীর সাজের বাহার,
লক্ষী দেখে হাসে।
ইঁদুর যখন পেঁচার আহার,
গণেশ আছে পাশে।

লক্ষী আর সরস্বতীর প্রবেশ।

লক্ষ্মী: কি রে স্বর? তোর দেখি সাজগোজ আর শেষ ই হয় না।
সরস্বতী: কি আর করি বল Sis। শিক্ষার যা হাল, তাতে আমাকে নিয়ে আর তেমন উৎসাহ দেখি না। কয়েকটা মাত্র alphabet শিখেই নিজেদের দিগ্গজ ভাবছে। ওদের ধারণা A-I-G-P-T এসব জানলেই সর্বজ্ঞ হওয়া যায়। Big brain…Bruh!
লক্ষ্মী: আমি ভাবছি অন্য কথা। আমাকে তো লোকজন মন্দিরের থেকে বাড়িতেই বেশী চায়। সমস্যা হলো গণশাকে নিয়ে। ও গেলেই ওর ইঁদুরটাও যায়। আর অমনি আমার পেঁচাটা লাফালাফি শুরু করে দেয়। তখন বাধ্য হয়ে আমাদের দুজনের মধ্যে একজনকে চলে যেতেই হয়।
সরস্বতী: তাহলে উপায়? আমি ভাবছি ওই সময়টা ঠিকভাবে use করা যাবে। একটু focus, পড়াশোনা, meditation, বা ছোট ছোট স্কিল sharpen করা — full recharge time.
লক্ষ্মী: গণশা বললো কয়েকটা দিন ছাড়া বাকি সময় ও বাড়ীতে তেমন থাকবে না। আমি তাই ওই দিনগুলো একটু ম্যানেজ করে নেবো।….চল যাই দেখি মা তৈরী হলো কি না।
সরস্বতী: Perfect। চল, stealth mode চালাই। Light reading + brain upgrade session। এই সময়টাই আমার main-character energy load করার জন্য। Full brain slow-up.
লক্ষ্মী: তুই সত্যিই বুদ্ধিমতী, স্বর। আমি দেখেছি, তুই সবসময় নিজের সময়কে অর্থবহ করে তুলছিস।
সরস্বতী: Awww…thanks, Sis। কিন্তু তুই না থাকলে আমার কিছুই সম্ভব হতো না। Teamwork = ultimate power। আর হ্যাঁ, যদি তুই একটু lazy হস্, আমি তো sneak attack দিয়ে motivation দিচ্ছি।
লক্ষ্মী: হাহাহা! তুই ভারি চালাক। তবে এবার নিশ্চিন্তে যাচ্ছি। আশাকরি মা আমাদের অপেক্ষা করছেন।
সরস্বতী: FAM, Hype levels high। চল, ধীরে ধীরে সব explore করি। Cave vibes ON। আর হ্যাঁ, মাঝে মাঝে একটু fun না করলে dull হয়ে যাবে like Pizza without cheese – Not happening…
লক্ষ্মী: ঠিক বলেছিস। তবে মনে রাখিস, সব কিছু আমাদের শান্তি এবং সততা দিয়ে করতে হবে।
সরস্বতী: Of course! Chill mode ON, কিন্তু energy level সবসময় high। চল চল, এবার সত্যিই যাওয়া যাক, নাহলে মা আবার রাগ করবে!

দুজনের প্রস্থান।

তৃতীয় পর্ব

নেপথ্যে গান:
দুর্গা যাবে বাপের বাড়ি,
শিবজি একা ঘরে।
পরণে তার নতুন শাড়ি,
গরদের লালপেরে।

দুর্গার প্রবেশ শাড়ী হাতে। বসে আছেন শিব, গলায় রুদ্রাক্ষ, ধ্যানেমগ্ন।

দুর্গা: এই কয়েকদিন তো থাকবো না । রান্না করে খাবে না অন্য ব্যবস্থা কিছু আছে?
শিব: ও নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না । তুমি ভালো ভাবে ঘুরে এসো। বিষ্ণু আর ব্রহ্মা কে বলে রেখেছি। আমরা তিনজনে একসাথেই থাকবো, খাবো, tinpatti খেলবো।
দুর্গা: তা শুধু tinpatti খেলাই হবে না কি আরও কিছু প্ল্যান আছে? তিন মক্কেল এক হলে তো জগৎ উদ্ধার না করে ছাড়ো না।
শিব: এবারে তো তেমন কিছু করার নেই গিন্নী । তুমি তো মাত্র দুদিনের জন্যে যাবে । একদিন আমরা tallinn যাবো আর অন্যদিন ওখান থেকে যে juice গুলো আনবো সেগুলো বাড়ীতে বসে খাবো আর tinpatti খেলবো।
দুর্গা: যা মন হয় করো । আমার অনেক গোছগাছ বাকি । আমি যাই তৈরী হতে হবে।

ঠিক এই সময় গণেশ, কার্ত্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতীর প্রবেশ।

নেপথ্যে গান:
পুত্র কন্যা সবে মিলে,
মায়ের কাছে এলো।
হাতির পিঠে আসবো বলে,
দোলায় ফিরে গেলো।

গণেশ: আচ্ছা মা? এতোদিন ওই হাতির মাথা ছিলো বলে কতোই না ঝামেলা সয়েছি। এবারে আবার সেই হাতির পিঠেই চড়ে যেতে হবে?
কার্ত্তিক: মা, honestly এতটা এক্সপেক্ট করা টক্সিক লাগছে না? Elephant-ride করে এতদূর যাওয়া মানে pure overkill। Age factor একটু consider করলেও তো পারো!
লক্ষ্মী: তবে ফেরার সময় ক্লান্তি টা বেশী হয় তাই হয়তো দোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সরস্বতী: Elee ride টা at least chill হতো—কথা শুনত আর safe পৌঁছে দিত like VIP transport। কিন্তু shoulder-carried ride মানে pure torture, সমস্যা বেশীরে দিদি। যাদের কাঁধে ভার, তারাই তো শেষে বলবে—“nah bro, we out।"
দুর্গা: আমি আর কি করি বল। নারদকে বলেছিলাম সব আগে থেকে খোঁজ নিয়ে জানাতে । সে তো আজকাল ওই আধমরা ঢেঁকি নিয়ে সবজায়গায় যেতেই চায় না ।
নারদ: দুঃখের কথা আর কি বলি মা! আজকাল মর্ত্যে রিমোট কন্ট্রোল কি একটা ড্রোন নাকি বানিয়েছে। ঢেঁকি নিয়ে আকাশে বেরোলেই সেগুলো আমার দিকেই ধেয়ে আসে। ওই ড্রোনগুলোতে সুদর্শন চক্রের মিনিয়েচার লাগানো। আমি তো ভয়ে মরি, যদি আপনার সেই পূর্বজন্মের মতো আমার দেহটাও কেটে কেটে ফেলতে থাকে!
দুর্গা: তাহলে আর কি করি। আপাততো দেখি অসুরের একটু খবর টানিয়ে আসি। এই যা তোরা, রেডি হয়ে নে… এই গনসা, তুই গেলি…
…( শিবের দিকে তাকিয়ে) এই দাও তো দাও দেখি, তোমার তো আর এটা (ত্রিশূল) কাজে লাগবে না, আমাকে দাও।

দুর্গার travel ব্যাগ আর ত্রিশূল নিয়ে প্রস্থান। ওদিকে শিবকে ব্রহ্মা আর বিষ্ণু juice এর লোভ দেখিয়ে নিজেদের দিকে টানার প্রচেষ্টা।

অন্তিম পর্ব

নেপথ্যে গান:
অসুর এবার খোস মেজাজে,
দুর্গা এসে বলে।
আগের মতোই বকছে বাজে,
মরার সময় হলে।

মঞ্চে অসুর আর দুর্গার প্রবেশ।

দুর্গা: কই রে অসুর এবারে নতুন অস্ত্র কিছু এনেছিস? না কি সেই একই মরচে ধরা খর্গ নিয়ে হাজির?
অসুর: আমি এবারে নিশ্চিন্তে ঘুমবো। যা করার আমার ম্যাজিক্যাল mist—Eau de Doom! করে দেবে।
দুর্গা: Eau de Doom? এ আবার কিসের নাম?
অসুর: আমার বন্ধু কিম ভূত এটা আমাকে স্পেশাল গিফ্ট দিয়েছে ।বলেছে কোনো lovely লেডি (audience er dike takiye wink) কে উপহার দিতে।
দুর্গা: উপহার দিবি? লড়াই করবি না?
অসুর: প্রতিবার বুকে খোঁচা দিস অথচ বুকের যন্ত্রণা টা বুঝলি না।এবারে সত্যি কারের লাভ হয়েছে রে দুগ্গা।
দুর্গা: ওসব লাভ দেখে আমার কাজ নেই। তবে তুই ভালো হলে আমিও তোর ভালো বন্ধু হতে পারি। কিন্তু তোকে তো আমি চিনি। নিশ্চয় কোনো দুর্বুদ্ধি আছে। তাই আগে তুই তোর ম্যাজিক্যাল mist নিজে নিয়ে দেখা। আমি একটু পরে আবার আসছি।
অসুর: (অডিয়েন্সের দিকে তাকিয়ে) দুর্গা দেখছি ঠিক ধরে ফেলেছে।তবে অল্প একটু নিলে আশা করছি কিছু হবে না, কি বল?
আরে বাবা! এ তো mist না—ফগ অনিয়ন ফ্লেভার! চোখে জ্বালা শুরু হয়ে গেছে…
দুর্গা: (হেসে) হায় রে! Eau de Doom নিয়ে তো দেখছি তোর ফুটুরে ডুম হয়ে গেল। নিজের mist এ নিজেই শেষ হয়ে গেলি রে!
অসুর: (হালকা বেহুঁশ হয়ে) এই… আমি… আমি কি ভুল করেছি?
দুর্গা: ভুল? না, না, Chill কর।… বরং শিখলাম, Technology যতই উন্নত হোক না কেন, মানুষের honesty আর simplicity ই সবচেয়ে powerful।
এই কি হলো রে, বলি হলো টা কি?
সরস্বতী: Bro…Bro, দেখছিস না? Magical mist fail করল, কিন্তু nostalgia full on! Technology may backfire, but childhood vibes always clutch, সেই মুহুর্তগুলো real magic, pure fun, zero stress আর big smile.
দুর্গা: আচ্ছা আচ্ছা, এবারে চুপটি করে দাঁড়া দেখি, দেখছিস না সবাই কিরকম ড্যাব-ড্যাব করে চেয়ে আছে আর অবাক হয়ে আমাদের দেখছে।
কার্ত্তিক: আরে ঠিক আছে, অত চুপটি করে না দাড়ালেও হবে, Gemini আছে তো, ও সব ম্যানেজ করে নেবে।
দুর্গা: (অসুর কে একটু খোঁচা দিয়ে)… কি রে, ঠিক আছিস তো, একটা ভালো pose নে দেখি?