সিন্দুক ও পিয়ানো

সিন্দুক ও পিয়ানো, ঐশানী মিত্র

একটা বাড়িতে একটা অনেক পুরোনো সিন্দুক ছিল। সিন্দুকটা সাধারণ সিন্দুক ছিল না। ও দেখতে পেতো, শুনতে পেতো।ওর প্রাণ ছিলো। মানুষরা কেউ সেটা বুঝতে পারতো না। একই জায়গায় অনেকদিন ধরে থাকতে থাকতে সিন্দুকটার আর ভালো লাগছিলো না। ওর খুব ইচ্ছে করছিলো বেড়াতে যেতে।

তারপর একদিন ওই বাড়িতে একটা পিয়ানো এলো। পিয়ানোটার ও সিন্দুকটার মতোনই প্রাণ ছিলো। পিয়ানোর সাথে দেখা হতে সিন্দুক বললো ‘তোমার কথা তো আমি অনেক শুনেছি।’ গল্প করতে করতে সিন্দুক বললো ’ আমি অনেক দিন এখানে আছি. আমার আর ভালো লাগছে না আমার খুব বেড়াতে যেতে ইচ্ছে করে।’

পিয়ানো বললো 'চলো আমরা একসাথে বেড়াতে যাই। ’

রাত্রে বেলা সিন্দুক আর পিয়ানো একসাথে বেরিয়ে পড়লো। ঘুরতে ঘুরতে ওরা একটা মরুভূমিতে পৌঁছলো। সেখানে গিয়ে ওদের খুব জল পিপাসা পেলো। পিয়ানোর সাথে জল, খাবার এসব ছিলো। ঘুরতে ঘুরতে ওরা একটা গ্রামে পৌঁছলো। জায়গাটা এমিনিটে খুব একটা সুন্দর নয়। কিন্তু যখনই কোনো ভালো লোক ওখানে পা রাখতো জায়গাটা পাল্টে খুব সুন্দর হয়ে যেতো।

সিন্দুক আর পিয়ানো সেখানে পৌঁছতেই জায়গাটা খুব সুন্দর হয়ে গেলো। ওরা একটা প্রাসাদের সামনে পৌঁছে গেলো। প্রাসাদ থেকে একজন লোক বেরিয়ে আস্তে তাকে বললো ‘আমারা কি একটু এখানে থাকতে পারি?’ তখন ভিতর থেকে একজন বেরিয়ে এসে বললো ’ আমি এখানকার রাজা। তোমরা ভিতরে এসো, চা বিস্কুট খাও।’ ওরা চা বিস্কুট খাওয়ার পর বললো ‘আমরা পার্মানেন্টলি থাকার জন্যে একটা জায়গা খুঁজছি। সুন্দর জায়গা যেখানে একটা বড়ো পুকুর থাকবে।’

রাজ্য বললো ‘এরকম একটা জায়গা আছে কিছুটা দূরে।তোমরা চোখ বন্ধ করে ধ্যান করো। আমি তোমাদের মাথায় হাত রাখছি। তোমরা যখন কল্পনায় পুরো জায়গাটা ভালো ভাবে দেখতে পাবে তখন সেখানে পৌঁছে যেতে পারবে।’

ওরা বললো ‘এই গ্রামে এরকম জায়গা আছে? তাহলে আমরা এখানেই থেকে যাবো।’

রাজা - ‘হাঁ তাও আছে। দেখো তোমাদের পছন্দ হয় কি না’

দেখার পর জায়গাটা খুব পছন্দ হওয়ায় ওরা ওখানেই থেকে গেলো।

আসলে রাজা কিন্তু আগে থেকেই জানতো যে সিন্দুক আর পিয়ানো আসবে, আর ওরা কি চায়। রা জার কাছে একটা ক্রিস্টাল বল ছিলো সেখানে রাজা সব দেখতে পেয়েছিলো।