লিখতে একেবারেই পারি না, কিন্ত একজন শ্রধ্যেয় মানুষ হুকুম জারি করেছেন কিছু লেখার জন্য; অগত্যা আদাজল খেয়ে নেমে পড়লাম। ভুল ক্রটি তো হবেই, তাই আগেভাগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

বলুন তো, প্যাশন আর আমার মধ্যে মিল কোথায়? …দুটোই শুরু হয় প দিয়ে।…দেখলেন তো, শুরুতেই কেমন একটা PJ দিলাম। নিন এবার ঠ্যালা সামলান।

যাক যে যাক, এখন মুল বিষয়ে আশা যাক তাহলে।

আমি একজন রিসার্চার আর রিসার্চ টাই আমার প্যাশন। ভেঙে বললে বলতে হয় আমি একজন কম্পিউটেশনাল কেমিস্ট। আমার কোনো যন্তর মন্তর ঘর নেই ঠিকই কিন্তু বিগত ১৮ বছর ধরে আমি মলিকিউল নিয়ে খেলে যাচিই। কখনো দোমরাই কখনো মোচড়াই, মানে বলতে পারেন যে মলিকুলার মডেলিং করি। আমার মগজাস্ত্র দিয়ে না জানি কি সব ছাইপাশ জিনিষ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করি। তাতে লাভ ক্ষতি দেখি না, এটা আমার ভালো লাগে করতে। বলতে পারেন যে এটা না করলে মনে হয় যেন জীবন থেকে কিছু একটা মিসিং।

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ তো ১৮ দিনেই শেষ হয়ে গিয়েছিল, তবে আমার যুদ্ধা এখনো চলে যাচ্ছে এটাকে প্যাশন বলবেন না তো আর কি বলবেন?

গুগল এ দেখলাম যে প্যাশন মানে হল ‘strong and barely controllable emotion’…বিশ্বাস করুন এখনো হাসি থামাতে পারছি না।

না, আমার ইমোশন আমার প্যাশনের প্রতি আছে ঠিকই, কিন্তু তা বলে কন্ট্রোল আমি করতেই পারি। না করলে তো দুনিয়া পাগল বলবে।

যখনই কোনো রসায়ন বা রাসায়ানিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় তখনই মনের মধ্যে কেমন কেমন হয়…চোখের সামনে মলিকিউল ভেসে আসে…

এক কথায় বলতে পারেন ষে, রসায়ন কে বাকিরা টেস্ট টিউব, কনিকাল ফ্রাঙ্ক, বিকার, পিপেট, বুরেট, রংচঙে সব পদার্থ হিসাবে ঘদি দেখে, আমার কাছে সেগুলো সব মলিকিউল, কম্পাউন্ড (যৌগপদার্থ) এইসব; তাদের স্ট্রাকচার কিরকম হবে বা হতে পারে, কিভাবে ওরিয়েন্ট করলে রিআযাকশন হবে একে অপরের সঙ্গে, এই আর কি…

আর বিরক্ত করবো না…অনেক হয়েছে নিজের প্যাশন এর গুণকীর্তন করা…তবে কচিকাঁচাদের একটা পরামর্শ দেব যে তোমরা নিজের প্যাশন নিয়ে এগিয়ে যাও…বার যা আছে তাতেই হবে কিন্তু একটা কিছুর প্রতি অগাধ টান থাকাটা খুব দরকার।…

আসি তাহলে, আবার পরে দেখা হবে…