এটাকে গন্স না অনুভূতি, কি বলা যাবে সেটা পাঠক এর হাতেই ছেড়ে দিয়ে লেখা শুরু করলাম।
ছোটবেলা থেকেই আমার বেড়াবার খুব শখ, যেমন র পাঁচটা ছেলের থাকে কিন্তু বাবার চাকরীর কারণে ছোটবেলাতে বাঙালির “দীপুদা" নামক পরিক্রমাটিও পূর্ণতা পাইনি। তাই আমার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এর বন্ধুরা যখন গাড়ি বা bike এর বপ্পে বিভোর থাকতো আমি থাকতাম নানা ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে।
যাই হোক পরবর্তীকালে চাকুরী সূত্রে সে বপন পূরণ হয়েছে অনেকটাই , চষে বেড়িয়েছি ভারতের নানা প্রান্তে এবং পরবর্তীকালে দুনিয়ার নানা দেশে। সে আফ্রিকার বিভ্তীর্ণ তৃণভূমি বা grassland এ রাতের বেলা হুড খোলা গাড়িতে বসে মহাকাশের আকাশগঙ্জার মাটিতে মিশে যাওয়ার দৃশ্যই হোক বা বোর্নিও জঙ্গলে প্রবোসিস monkey কিন্বা কুয়েতি আর্মি এর Humvee তে করে desert storm পার করে দূরবীন দিয়ে দূরে দায়েশ (ISIS) এর পোস্ট দেখাই হোক নানা অভিজ্ঞতাই জীবনে পেয়েছি। তার ই মধ্যে থেকে আজ একটা গন্ন বা অভিজ্ঞতা এখানে বর্ণনা করার চেষ্টা করবো।
সেবার গেছিলাম Seychelles নাম একটা আইল্যান্ড এ। Indian Ocean এর প্রায় মাঝখানে লা রিইউনিয়ন এর ওপরে কেউ যদি গুগল Maps এ ১ মিনিট ধরে zoom in করে তবে বোধহয় দেখা যাবে এমন একটা ছোট দ্বীপ সেটা। কাছের mainland বলতে প্রায় ১৮০০ km দূরে আফ্রিকা র পূর্বে ৬০০০ km দূরে সিঙ্গাপুর।
লোকে বলে সাধারণ মানুষ যায় Maldives বা মরিশাস র বড়লোকরা ঘায় Seychelles. তোমরা যারা গেছো তারা আশাকরি কারণটা ভালো করেই জানো। ছোট্ট একটা দ্বীপ ঘা একসময় ফ্রেঞ্চ র পরে ব্রিটিশ কলোনী ছিল মুলত টুরিস্ট ইকোনমি-based। সারা দ্বীপে ছড়িয়ে আছে দুনিয়ার প্রভাবশালীদের বাড়ির yatch. কিন্তু এসব বিত্ত বৈভব এর পাশেই আছে আরেক Seychelles যেখানে যারা Pirates of the Caribbean দেখেছো তাদের সামনে হটাৎ করে সিনেমা যেন বাস্তব হয়ে যায়. সারা দ্বীপ জুড়ে ছড়িয়ে আছে অতীতের pirate দের নানা চিহ। কোথাও আছে pirate cemetery আবার কোথাও আছে hidden beach যেখানে এখনো লোকে খুঁজে বেড়ায় জলদস্যু দের লুকিয়ে যাওয়া ধনরত্ব।
কোথাও গভর্মেন্ট এর লাগানো বোর্ড এ লেখা আছে রাতের বেলায় না থাকতে কারণ কিছু অদ্ভূত অভিজ্ঞতা যা কিনা আমিও বিশ্বাস করতাম না ঘদিনা নিজে সেই Seychelles Govt. এর বোর্ড না দেখতাম।
যাই হোকএকদিন ওখানকার এক colleague, Jose যে কিনা ওখানকার ই অধিবাসী সে বললো দত্ত, চলো আমার সাথে Praslin. Praslin হলো আরেক ছোট দ্বীপ। সেখানে যেতে হোভারক্রাধ্ট এ প্রায় ২ ঘন্টা সময় লাগে. যারা প্রেসলিন গেছো তারা জানো যে যদি পৃথিবীতে কোথাও জলপরীদের বর্গ থাকে তা নির্ঘাত প্রেসলিন এই. দ্বীপের সাদা পাউডার এর মতো বালির জলে খেলে বেড়াচ্ছে নানা রঙের মাছ যেন বিশাল এক aquarium. আসলে দ্বীপটি একটা বড় পাহাড়ের মাথা যা কিনা সমুদ্র এর ওপর মাথা তুলে উঠেছে। পাহাড়ের গায়ে ঘন জঙ্গল র তার বুক চিরে চলে গেছে ছোট ছোট ট্রেইল। সারাদিন বিচ এ খাওয়াদাওয়া করো ,চান করো ,মাছ ধরো র রাতের বেলায় অন্ধকারে সাদা বালিতে চুপটি করে বসে দেখো আকাশের তারার আলোতে একের পর এক ঢেউ এর পারে ভাঙা, র অনুভব করো কত ক্ষুদ্র আমরা এই পৃথিবীর বুকে।
আমার ওখানে টার্গেট ছিল পাহাড়ের মাথায় চড়ে সমুদ্র দেখা, কিন্তু তা সম্ভব নয় কারণ ওখানে ছিল একটা repeater স্টেশন যা কিনা trans-Indian Ocean flight-কন্ট্রোল এর একটা অংশ তাই সিকিউরিটি এর কড়াকড়ি খুব. কিছুটা হতাশ হলাম কিন্তু দ্বিতীয় দিন দুপুরবেলা Jose এসে বললো দত্ত চলো পারমিট জোগাড় হয়ে গেছে, ওর এক বন্ধুর দৌলতে কিন্ত শুধুমাত্র আজকের জন্য।
তখন দুপুর প্রায় ১টা এত্ত বেলায় বেরিয়ে পৌছতে প্রায় বিকাল হবে জেনেও চললাম। যা দেখা যায় তাই অনেক। পাহাড়ি জঙ্গুলে রাস্তা দিয়ে আঁকা বাঁকা পথে four-wheel drive এর রীতিমতো পারফরমেন্স টেস্ট নিয়ে বিকাল ৪ তে নাগাদ গিয়ে পৌছালাম পাহাড়ের মাথায়।
সে এক অদ্ভূত জায়গা, পাহাড়ের মাথাটা নেড়া করে কিছুটা জায়গা জুড়ে আছে রেপিটের স্টেশন র বাকিটা ফাঁকা। পাহাড়ের মাথা হবার জন্য মহাসাগরের কয়েকশো কিলোমিটার চারপাশে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, হালকা হাওয়া নিত্তব্ধতা র বিশাল মহাসাগরের মুগ্ধাতা। তখনি ঠিক করলাম এসেছি ঘখন রাতের কিছুটাও এখানেই কাটাতে হবেই। Jose কে বলতেই সে বললো না কিছুতেই সে রাতে এখানে থাকবে না কারণ রাত্তা খুব খারাপ, নামার সময় অন্ধকারে কোনো অঘটন না হয়। কিন্তু আমিও ছাড়ার বান্দা নয়, অনেক অনুরোধ এর পর সে রাজী হলো কিন্তু রাত ৮ তার পরে সে বললো আমাদের নামতেই হবে.
যা পাওয়া যায় তাই আমার উপরি, তাই আনন্দে ঘুরে ঘুরে ছবি তুলতে লাগলাম। ফোন করলাম বাড়িতে প্রিয়াঙ্কা কে দেখলাম ভিডিও কল এ জায়গাটা। আত্তে আত্তে আঁধার নামলো। কেউ ঘদি নির্জন সমুদ্রের ধারে আঁধার নামার অভিজ্ঞয়তা রাখো তারা বলবেই সেটা একটু হলেও কেন জানিনা দুঃখ্য বয়ে আনে, জানিনা কেন কিন্তু আসে। কিন্তু কিছু পরেই হটাৎ পুব আকাশে উঠলো চাঁদ.
কোনো দৃষ্টির প্রতিবন্ধকতা, খালি অন্কাকার সুবিশাল জলরাশির বুকে চাঁদ এর প্রতিফলন। কোনো আওয়াজ নেই শুধু মাত্র দূরে জঙ্গলের পাতার শিরশিরানি। এখনো লেখার সময় আমার প্রতিটা রোমকৃপ যেন শিহরিত হচ্ছে।
থাকলাম কিছুক্ষন পাহাড়ের ধরে সেই দৃশ্য কে আমার মনের গহীনে সারা জীবনের মতো বাঁধাই করে রাখতে। হুশ ফিরলো Jose এর ভাকে। ও বললো চলো নিচে নাম যাক. ফেরার পথে কেউ কোনো কথা বলছিলাম না। শুধু সে বললো ও বহুবার ওখানে এসেছে কাজের জন্য কিন্ত আজকের যে অভিজ্ঞতা তাওরও কোনোদিন হয়নি। আসার পথে কোনো অসুবিধা হলো না আমরা ধীরে ধীরে জঙ্গল পার করে নেমে এলাম। ও আমাকে আমার aparthotel এ ড্রপ করে চলে গেলো ওর এক relative এর বাড়ি।
রুম এ এসে দরজা বন্ধ করতেই হটাৎ করে আমার মনে হলো আমি রুম এ একা নই। কেউ আছে এখানে, তোমরা যারা 6th sense এর অনুভব করেছো তারা জানো, এটা হটাৎ করে সজাগ হয়, তোমার মাথার পেছনে ঘাড়ের চুলের কাছে কেমন একটা অনুভূতি হয় যার কোনো সাধারণ ব্যাখ্যা হয় না।
আমার মনে হতে লাগলো আমি খুব বিপদে। এখানে বলে রাখি আমার ভূতে ভয় ছোটবেলা থেকেই নেই. এখনো নেই, বরং আমি cynophobic. ISRO তে চাকুরীকালীন Trivandrum এ একা একটা ৭তলা বাড়িতে থাকতাম যার কোনো তলাতে প্রায় প্রথম ৫ মাস কেউ থাকতো না. আমার মা বাবা দেখা করতে এসে অনেক বলেও বাড়ি চেঞ্জ করতে পারিনি কারণ বাড়িটা নতুন বলে আমার ভালো লাগতো ।ভূত এর বেপারে আমার কনসেপ্ট অনেক আগেই আমাদের রামকৃষ্ণ মিশন ফুল এর মহারাজ ক্লিয়ার করে দিয়েছিলেন, র তা হলো আমরা নিজেরাই ভূত, খালি সাথে বডিটাও আছে, র তাই ভূত ঘর মটকালে আমিও মরার পরে ভূত হয়ে তার ঘাড় টিও মটকাবো।
তা সেই যাই হোক ফিরে আসি গন্পে,… হটাৎ করে আমার- মনে হলো আমি খুব এ বিপদে, কিন্তু বিপদ বলতে আমার মনে হলো ঘরে কোনো চোর বোধ হয় লুকিয়ে আছে.
হাতের কাছে হাঙ্গার এর লাঠিটা নিয়ে আত্তে আত্তে বেড রুম এ গেলাম, কেউ নেই!! খাটের নিচে , বাথরুম এর ভেতরে, রান্নাঘর সব দেখলাম কেউ কোথাও নেই. এদিকে রাত প্রায় ১০ টা। কোথাও কিছু নেই কিন্ত সেই আমার ঘাড়ের কাছে অনুভুতিটা কিন্ত সমানে আছে।
কিছুতেই বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে, তারপর আত্তে আস্তে হটাৎ মনে হলো অদৃশ্য কেউ আছে এই ঘরে, যে আগে ছিল না, কারণ আমি এই ঘরে আজ প্রায় ২ দিন আছি, আজকে দুপুরেও এই অনুভূতিটা ছিল না, খালি মনে হচ্ছে কেউ যেন আমায় দেখছে,
India-তে তখন রাত প্রায় দেড়টা, তবু বাড়িতে ফোন করে প্রিয়াঙ্কা কে ঘুম থেকে তুলে বেপারটা বললাম। ও বললো রুম থেকে বেরিয়ে যেতে, কিন্তু রাতের বেলায় কোথায় যাবো? এটা একটা আইল্যান্ড রাস্তা ঘটে লোক নেই এপার্টহোটেল ও প্রায় ফাঁকা। কোন ঘরে লোক আছে জানিনা। ওকে বললাম ফোন এ থাকতে, আবার পুরো এপার্টমেন্ট ঘুরে দেখলাম ,… কিছু নেই কিন্ত কিছু আছে। … কোনো মতে খেয়ে বিছানায় এসে শুলাম, লাইট on থাকলো, মনে হলো সেই অনুভূতিটাও ঘরে এলো… সে আছে কিন্তু কোনো কারণে খুব কাছে আসছে না।…সারাদিনের পরিশ্রমে ঘুমে চোখ জড়িয়ে আসছে কিন্তু কেউ যেন মনের মধ্যে সমানে বলছে ঘুমিয়ে পড়লে হবেনা। বিপদ, খুব বিপদ!!! লোকে বলে আত্মার উপস্থিতি নাকি বোঝা যায় ঠান্ডা ভাব এর মাধ্যমে কিন্তু সেরকম কোনো আলাদা কিছুর কোনো অনুভূতি আমার ছিল না. খালি মনে হচ্ছে কেউ আমায় দেখছে, কিছু একটা ভারী কিছু আছে ঘরের মধ্যে।… আস্তে আত্তে ভোর হলো। সকাল ৬ টা নাগাদ ফোন করলাম Jose কে। বললাম তাড়াতাড়ি এস খুব ইমার্জেন্সি। ও ১৫ মিনিটে এ গাড়ি নিয়ে হাজির , ওকে বেপারটা খুলে বলতেই ও বললো তুমি তাড়াতাড়ি ব্যাগ গুছাও র চলো আমার সাথে। ৬.৩০ এ আমি ওর সাথে রওনা দিলাম, চললাম এয়ারপোর্ট এ. সে এক ছোট এয়ারপোর্ট, শুধু ৬-seater প্লেন চলে টুরিস্ট নিয়ে, ও বুকিং কাউন্টার এ গিয়ে আমার টিকেট চাইতে তারা বললো আগামী ২ দিনের কোনো টিকেট নেই অল booked.
কিন্তু Jose কোনো কারণে নাছোড়বান্দা সে বুক করবেই। ও কল লাগলো এয়ারটেল এর Seychelles এর ফিনান্স হেড কে, কারণ AirTel ইমার্জেন্সি সার্ভিস এর জন্য ওদের কিছু ইমার্জেন্সি কোটা থাকে তাতে ও একটা টিকেট এর ব্যবস্থা করে দিলো।
আমি চুপ করে বসে দেখে চলেছি কি হচ্ছে। গত ১২ ঘন্টায় আমার ওপর দিয়ে যে ঝড় বয়ে গেছে তাতে আমার অনুভ্তিগুলো কেমন একটা ভোতা হয়ে গেছে। জানিনা চারপাশে কি হচ্ছে। টিকেট arrange হবার পরে Jose এসে ticket দিতেই বললাম …Jose কি হলো তুমি হটাৎ আমার যাবার ব্যবস্থা করে দিলে? ও বললো তুমি আগে 59/79195 পৌ’ছাও আমিও বিকাল নাগাল হোভারক্রাষট এ পৌছাবো তারপর তোমাকে সব বলবো। যাই হোক আমি চড়ে বসলাম প্লেন এ, ১৫ মিনিটে এফিরে এলাম Seychelles এ।
Seychelles এসে আবার সব আগের মতন… আমার সেই মাথার পেছনের অনুভূতিটা র নেই, …সব আবার আগের মতন। রাতের বেলা হোটেল এ Jose এলো, এসেই বললো তোমাকে আমি সেদিন অনেকবার বলেছিলুম ওখানে পাহাড়ের ওপরে রাতে না থাকতে, শুধুমাত্র তোমার জন্য আমরা ওখানে ছিলুম। তোমার ভাগ্য খুব ভালো ষে তোমার কিছু হয়নি। এখানে অনেক জায়গাতে রাতের বেলা অনেক রকম অদৃভূত কান্ড হয়, অনেক রকম অনুভ্তি হয়. জোসে আরো বললো যে পাহাড়ের ওপর থেকে গাড়ি ড্রাইভ করে নামার সময় ওর অনেকটা এরকম অস্বর্তি হচিছলো র মনে হয়েছিল যে গাড়িতে আমরা দুজন ছাড়াও কেউ আছে তাই ও গাড়ি ড্রাইভ করার সময় কোনো কথা বলেনি। কিন্তু আমি নাকি নেমে যাবার পর সেটা র ছিলোনা তাই ওটাকে মনের ভুল ভেবে সে র বেশি পাত্তাও দেয়নি। কিন্তু আজ আমার কথা শুনেই সে বেপারটার গুরুত্ব বুজতে পারে। সে আরো বললো দ্বীপের মধ্যে বহু জায়গায় pirate দের বহু সিমেট্রি আছে কিছু আবিষ্কার হয়েছে র বেশিরভাগই লোক চক্ষুর অন্তরালে। Pirate দের জীবনের মতো তাদের মৃত্যুও অনেক সময় খুব কষ্টকর হতো. লোকমতে এখনো শত শত বছর ধরে সেই সব অতৃপ্ত আত্মা ঘুরে বেড়ায় দ্বীপের নানা নির্জন জায়গাতে। তারা কারুর ক্ষতি করেনি বা করেনা ষদি না কেউ তাদের বিরক্ত করে আর আমরা ঠিক সেটাই করেছিলুম সেদিন রাতে ওই নির্জন জায়গায় অতক্ষণ থেকে .সেখানে হয়তো বছরে একবার লোকে যায় তাও দিনের বেলায়। তাই যত তাড়াতাড়ি সে আমাকে ওই দ্বীপ থেকে ফেরাতে চাইছিল। ও আবার জিজ্ঞেস করলো এখন কি সব ঠিক আছে ৮ আমি বললাম হাঁ, এখন সব স্বাভাবিক।
তার পর প্রায় ২ মাস Seychelles এ ছিলাম কিন্তু র কোনো আলাদা অভিজ্ঞতা হয় নি। পরে এটা নিয়ে চিন্তা করেছি অনেক কিন্তু কোনো ব্যখ্যা পাইনি। কি হয়েছিল আমার সেই দিন!! আমি কিছু দেখিনি, বা ভূতের গন্নের মতো কোন আওয়াজ বা কোনো পার্থিব বেপার হয়নি কিন্তু সম্পূর্ণ একটা অপার্থিব কিছু সেদিন হয়েছিল। কেনই বা কোনো খারাপ কিছু হয়নি শেষ পর্যন্ত ? হয়তো জানি কেন কিন্তু তাও প্রশ্নটা এখনো থেকে গেছে।
পুনশ্চ : আমি সারাদিন আমি সেদিন অনেক ফটো তুলেছিলাম ওই পাহাড়ের ওপর থেকে বা রাতের বেলাও চাঁদের ফটো বিশাল বিস্তারিত জলরাশির ওপর কিন্তু কেন জানিনা সন্ধের পর থেকের কোনো ফটো আমি ফোনে ক্লিয়ার পাইনি, সব এ আবছা কিন্তু কেন আমার কাছে কোনো ব্যাখ্যা নেই।