পুজো মানেই - স্মৃতি।
এক জীবনের সুখ-দুঃখ,
স্মৃতিকথার সুতোয় গাঁথা।
পুজো মানে - নিজের পাড়া।
পাড়ার পুজোয় ছেলেবেলা,
নতুন জামা, নতুন জুতো,
রোল-চাওমিন-মোগলাই আর
না-হারিয়ে ঠাকুর দেখা।
গোঁফের রেখা, চাঁদার রসিদ,
রিহার্সালের বকা-ঝকা।
চোখেতে চোখ, হটাৎ ছোঁয়া,
উথলে প্লাবন, আবেগ যত
মনখারাপে ভালোলাগা।
বোতল থেকে উইস্কি গেলা,
ঢাকের তালে মাতাল হয়ে
বিসর্জনে নাচতে থাকা।
পুজো মানে - কলেজ।
সিঁড়ির নেশা, বিড়ির ধোঁয়া,
করচাগিনের গল্প জানা।
লজ্জা রেখে - কৌটো নেড়ে,
ত্রাণের কথা, প্রাণের কথা,
দুনিয়াটাকে পাল্টে ফেলার
স্বপ্ন ছুঁয়ে, অন্য-পুজোর
নতুন স্বাদে, অসুর চিনে,
লড়াই করে জিততে চাওয়া।
পুজো মানে - প্রবাস।
ফালাকনামায় বাড়ি ফেরা,
মায়ের হাতের রান্না ছোঁয়া।
ভিনদেশেতে নতুন জীবন,
পাড়ার পুজোর স্বাদে মোড়া,
আড়াই দিনের স্বপ্ন মূখর,
ভিনদেশেতে বাংলা পাওয়া।
কচি-কাচার দুগ্গা চেনা,
বাংলা-সাজে, বাংলা-ছাঁচে,
হটাৎ করেই লম্বা হওয়া।
পুজো মানেই - বিসর্জন।
বদলে যাওয়া অসুরটাকে
নতুন করে আবার চেনা।
ভিড়ের মাঝে লুকিয়ে থাকা,
রামের নামে শিকার খোঁজা,
মুখোশ পড়া অসুরটাকে -
এক ঝটকায় মুন্ডু কাটা।
ধুপ-ধূনো আর মালার সাথে
দুগ্গা-মা’কে মাথায় তুলে,
মুণ্ডুহীন ওই অসুরটাকে
গঙ্গাজলে ভাসিয়ে দেওয়া।
পুজো মানেই - দিনবদল।
আসছে বছর আবার হবে।
নতুন অসুর জন্ম নেবে,
নতুন করেই চিনতে হবে,
লড়াইটাতো আবার হবে!
তোমরা সবাই দুগ্গা হয়ো,
দুগ্গা তোমায় জিততে হবে,
জিততে হবে, জিততে হবে!